ওবিসি সার্টিফিকেট নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতির বিরাট রায় | নতুন শুনানি জারি

 বিপদে পড়লেন রাজ্য সরকার নতুন শুনানি জারি ওবিসি সার্টিফিকেট নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে


আজকে সুপ্রিম কোর্টে ওবিসি সার্টিফিকেট নিয়ে একটি শুনানি জারি করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন রাজ্য সরকারকে যে আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই অফিসে সার্টিফিকেট সম্পর্কিত সমস্ত তথ্য জমা দেওয়ার কথা। তাহলে তারপর আগামী শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট আবার নেক্সট শুনানি জারি করবেন

কিছুদিন আগে কলকাতা হাইকোর্ট পশ্চিমবঙ্গে ১০ বছর পরে যেসব ওবিসি সার্টিফিকেট তৈরি হয়েছে সেগুলোকে বাতিল বলে ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু রাজ্য সরকার এতে বেশ বিরুদ্ধ মত প্রকাশ করেছিলেন এবং তার ফলস্বরূপ কলকাতা হাইকোর্টের বাতিল করে দেওয়া ওবিসি সার্টিফিকেট এর রায় কে চ্যালেঞ্জ করে রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টের কাছে যান। এবং তারপর থেকে কিছুদিন স্থগিত থাকে এই মামলা এবং আজ সেই মামলার রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট । 

বড় খবর সামনে এলো ওবিসি সার্টিফিকেট নিয়ে
সুপ্রিম কোর্টের রায়ে বিপাকে রাজ্য সরকার
সুপ্রিম কোর্টের বড় শুনানি


সুপ্রিম কোর্টের রায় ঘোষণার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অর্থাৎ পশ্চিমবঙ্গ সরকার বেশ বড় বিপদে পড়েন। এদিকে আজ ওবিসি শংসাপত্র মামলায় রাজ্য সরকারকে নোটিস জারি করেছে সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, এক সপ্তাহের মধ্যে গোটা বিষয়টির ব্যাখ্যা করে হলফনামা জমা দিতে বলা হয়েছে রাজ্য সরকারকে। এরপর আগামী সপ্তাহের শুক্রবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে সুপ্রিম কোর্টে

রিপোর্টে বলা হয়েছে যে যে ৭৭ টি সম্প্রদায়কে ওবিসি সার্টিফিকেট এর আওতায় আনা হয়েছিল সেটি সুপ্রিম কোর্টকে জানাতে হবে ফলকন মার মাধ্যমে রাজ্য সরকারকে। সুপ্রিম কোর্টের কাছে এই ধারণা কষ্টই জানা গেছে যে 2010 সালের পর থেকে যেসব ওবিসি সার্টিফিকেট বানানো হয়েছে তার বেশিরভাগটাই কোন নিয়ম মেনে করা হয়নি। যা আগের শুনানিতে কলকাতা হাইকোর্টে জানানো হয়েছিল এবং সমস্ত ওবিসি সার্টিফিকেটকেই বাতিল হিসেবে গণ্য করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট । 

কলকাতা বিচারপতি এবং তাদের বেঞ্চ জানায় যে শুধুমাত্র ভোট ব্যাংকের জন্য কিছু মুসলিম সম্প্রদায়কে এই সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছিল কোন নিয়ম ছাড়াই। 

এতে রাজ্য সরকার এর প্রধান মোটিভ ছিল ভোট পাওয়ার। এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন এসব সম্প্রদায়কে যে ওবিসি সার্টিফিকেট তাদের দেওয়া হবে এবং তার জন্যই এখানকার কিছু ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন যারা এসব কাজের সঙ্গে যুক্ত তারা খুব তাড়াতাড়ি করেই এই ধরনের কাজে যুক্ত হন।

এখানে স্পষ্টই জানানো হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের তরফ থেকে যে রাজনৈতিক ও কিছু মুসলিম সম্প্রদায়কে বিশেষ করে  ওবিসি সার্টিফিকেট দেওয়াটা কতটা বিপদজনক। এবং তা কতটা মুসলিম সম্প্রদায় এবং গণতন্ত্রকে আঘাত করেছে।

আদালতেও জানিয়েছেন যে ওবিসি কমিশন আইন ১৯৯৩ অনুযায়ী ওবিসি সার্টিফিকেট তৈরি করতে হবে এবং ২০১০ সালের আগে পর্যন্ত যাদের ওবিসি সার্টিফিকেট ছিল তাদের কোনভাবেই ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিল হবে না এবং তার পাশাপাশি ২০১০ সালের পরে যারা অফিসে সার্টিফিকেট নতুন করে তৈরি করিয়েছেন বা নতুন ওবিসি সার্টিফিকেট তৈরির জন্য আবেদন করেছিলেন প্রত্যেকেরই ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিল হবে। 

 এরমধ্যে কোন ব্যক্তি যদি কোন এডুকেশনাল ইনস্টিটিউট বা কোন চাকরি স্থানে বাতিল হওয়া ও বিশেষ সার্টিফিকেট দিয়ে থাকেন তাদের ওই সার্টিফিকেট আর গ্রাহ্য করা হবে না ।

কলকাতা হাইকোর্টের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল প্রায় পাঁচ লাখ ভবিষ্যৎ সার্টিফিকেট বাতিল হয়েছে এবং যদি এর মধ্যে কেউ যদি সেই সার্টিফিকেট দেখে চাকরি পেয়ে থাকেন তবে তাদের চাকরি বহাল থাকবে এ কথা জানানো হয়েছিল ।

তো আগামী শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের পরবর্তী শুনানি জারি করা হয়েছে সেখানে রাজ্য সরকারকে সমস্ত নিয়ম অনিয়মের কথা ফলকন আমার মাধ্যমে জমা করতে বলা হয়েছে কোর্টে। 


Post a Comment

Previous Post Next Post